বাউফলের বগা পন্টুনে ভিড়ছেনা ঢাকা-পটুয়াখালীগামী দোতালা লঞ্চ,ভোগান্তী যাত্রী

 বাউফলের বগা পন্টুনে ভিড়ছেনা ঢাকা-পটুয়াখালীগামী দোতালা লঞ্চ,ভোগান্তী যাত্রী

দেলোয়ার হোসেন, বাউফল : পটুয়াখালীর বাউফলের বগা পন্টুনে ঢাকাগামী দোতালা লঞ্চ না ভেড়ায় শত শত যাত্রী চরম ভোগান্তীর মধ্যে পরেছেন। খেয়া নৌকায় নদী পার হয়ে তাদেরকে লঞ্চে উঠতে হচ্ছে। গত ৩ দিন ধরে ওই পন্টুনে কোন লঞ্চ ভিড়ছেনা।
জানা গেছে, পটুয়াখালী-ঢাকা নৌ রুটে প্রতিদিন ৬টি করে দোতালা লঞ্চ চলাচল করে । এর মধ্যে ঢাকা সদর ঘাট থেকে পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে ৩টি ও পটুয়াখালী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ৩টি দোতালা লঞ্চ ছেড়ে যায়। লঞ্চগুলো রোটেশনে চলাচল করে। মোট ১১টি লঞ্চ এই রুটে চলাচল করে । লঞ্চগুলো বাউফলের বগা পন্টুনে ঘাট দেয়। এ লঞ্চ ঘাট থেকে প্রতিদিন ৭-৮ শ যাত্রী ঢাকায় যান।
চলতি মাস থেকে এই রুটে রয়েলক্রুস নামের একটি বিলাস বহুল দোতালা লঞ্চ চলাচল শুরু করে। এরপর গত সোমবার থেকে (১৬ নবেম্বর) বগা পন্টুনে অন্যান্য লঞ্চগুলো ভেড়া বন্ধ করে দেয়। সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে পটুয়াখালী টু ঢাকাগামী দোতালা লঞ্চগুলো বগা পন্টুনে ভিড়তো। বর্তমানে দোতালা লঞ্চগুলো বগা পন্টুনের অদূরে নদীর পশ্চিম পারে গরবদি পন্টুনে গিয়ে ভেড়ায় ঢাকাগামী শত শত নারী পুরুষ ও শিশুদের খেয়া নৌকায় করে ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হয়ে গরবদি পন্টুনে গিয়ে লঞ্চে উঠতে হয়।
অপর দিকে ঢাকা সদর ঘাট থেকে পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা দোতালা লঞ্চগুলো গভীর রাতে অর্থাৎ রাত ৩-৪টার মধ্যে বগায় আসে। ওই লঞ্চগুলোও বগা পন্টুনে না ভিড়ে গরবদি পন্টুনে ভিড়ে। ওই সময় বাউফলের যাত্রীদের খেয়া নৌকায় করে নদী পার হয়ে বগা আসতে হয়। খেয়া নৌকায় করে নদী পারাপারের সময় দূর্ঘটনায় প্রানহানীরমত ঘটনা ঘটতে পারে।
ঢাকাগামী লঞ্চগুলো বগা পন্টুনে ঘাট না দেয়ায় পন্টুনের ইজারদারও পরেছেন বেকায়দায়। এই ঘাট থেকে ৫টাকা করে টিকিট কাটা হতো। বর্তমানে তা বন্ধ রয়েছে। এর ফলে ইজারদারকে প্রতিদিন কয়েক হাজার টাকা লোকশান দিতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী- ঢাকা নৌ-রুটে চলচলকারী কয়েকটি দোতালা লঞ্চের সুপারভাইজারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,এই নৌ রুটে  রয়েলক্রুস দোতালা লঞ্চ চলচলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কোন লঞ্চ বগা পন্টুনে ভিড়বেনা।
পটুয়াখালী বিআইডবিøউটিএ’র সহকারী পরিচালক খাজা সাদিকুর রহমানের বক্তব্য নিতে তার ০১৭২২০৪৬৮৬২ নম্বরের মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,‘ বিষয়টি আমার জানা নেই।  আমি খবর নিয়ে দেখছি।’